Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার- ১ এর তথ্য বাতায়নে স্বাগতম।কারাগারে আটক বন্দির অসুস্থতার কথা বলে বিকাশ, রকেট, নগদ বা যে কোন ব্যাংকে অর্থ গ্রহণ করা হয় না।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কেউ এ ধরনের কারাগারের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাইলে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে বা অত্র দপ্তরে যোগাযোগ করার জন্য বলা যাচ্ছে।


Title
বাস্তবায়ন প্রতিবেদন
Details




মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 



মন্ত্রণালয়/বিভাগ এর শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন,

বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন নির্দেশিকা, ২০২৪-২৫    

 

১। প্রেক্ষাপট:

  •         গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করেছে। এ কৌশলের মূল লক্ষ্য হল শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রণীত কৌশলে শুদ্ধাচারকে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ এবং কোন সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদণ্ড, প্রথা ও নীতির প্রতি আনুগত্য হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ কৌশলে রাষ্ট্র ও সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত স্থায়ী দায়িত্ব; সুতরাং সরকারকে অব্যাহতভাবে এই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে মর্মে উল্লেখ আছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ১ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০১৬ মেয়াদের জন্য শুদ্ধাচার কর্ম-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ কাঠামো প্রণয়ন করে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার পাশাপাশি আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয়/আঞ্চলিক কার্যালয়সমূহ শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কাঠামো প্রণয়ন করে আসছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মত  শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনায় সম্পাদিত কাজের বিপরীতে নম্বর প্রদান ও সে আলোকে প্রাথমিকভাবে মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনায় সম্পাদিত কাজের বিপরীতে নম্বর প্রদান ও সে আলোকে মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে।     

        সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের স্ব স্ব শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। এ ছাড়া, মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা এবং এ সকল দপ্তর/সংস্থার আঞ্চলিক/মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত নির্দেশিকা অনুসরণপূর্বক শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের নির্দেশনা প্রদান করবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এই নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা, ২০২৪-২৫ প্রণয়ন করবে। কর্ম-পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন শেষে মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও এ নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।

 ২। শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা, ২০২৪-২৫  

মন্ত্রণালয়/বিভাগের  শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনায় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন এবং শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম এই ৩ (তিন) টি ক্ষেত্রে কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে:

 

ক্রমিক ১: প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা


১.১ নৈতিকতা কমিটির সভা


নৈতিকতা কমিটির কার্যপরিধির আলোকে সভার আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করতে হবে। কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সেক্টরে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য এবং অন্তরায় চিহ্নিতকরণ , পরিলক্ষিত অন্তরায় দূরীকরণের জন্য  সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব কাদের উপর ন্যস্ত থাকবে তা নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট সেক্টরে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় এসকল বিষয় এজেন্ডাভুক্ত করে সভা আয়োজন করতে হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সুবিধার্থে প্রতি ত্রৈমাসিকের প্রথম মাসেই সভা আয়োজন করতে হবে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনসমূহ নৈতিকতা কমিটির সভায় অনুমোদিত হতে হবে বিধায় প্রতি কোয়ার্টারে ন্যূনতম ১টি করে নৈতিকতা কমিটির সভা আহ্বান করতে হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ১.১ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখপূর্বক ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে।


মূল্যায়ন পদ্ধতি: প্রতি ত্রৈমাসিকে নৈতিকতা কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী ১টি করে সভা অনুষ্ঠিত হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। কোন ত্রৈমাসিকে সভা অনুষ্ঠিত না হলে নম্বর পাওয়া যাবে না। এছাড়া প্রতি ত্রৈমাসিকে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণীতে নৈতিকতা কমিটির কার্যপরিধি অনুযায়ী কোন আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত না পাওয়া গেলে পূর্ণ নম্বরের জন্য বিবেচনা  করা হবে না।    

 

প্রমাণক: নৈতিকতা কমিটির সভার কার্যবিবরণী।




১.২ নৈতিকতা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন


নৈতিকতা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার নির্ধারণ করতে হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ১.২ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি কোয়ার্টারে অনুষ্ঠেয় নৈতিকতা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার পৃথকভাবে প্রতি কোয়ার্টারে (৮-১১ কলামসমূহে) উল্লেখ করতে হবে। কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলে তার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে নৈতিকতা কমিটির সভাপতি কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।  


মূল্যায়ন পদ্ধতি:  প্রতি ত্রৈমাসিকে আয়োজিত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জন শতভাগ হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।  উল্লেখ্য, মূল্যায়নের সময় নৈতিকতা কমিটির কার্যপরিধির আলোকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। সিদ্ধান্তের গুণগত মান বিবেচনা করে নম্বর প্রদান করা হবে। 


প্রমাণক: নৈতিকতা কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন সংযুক্ত ছক মোতাবেক দাখিল করতে হবে।

ছক

ক্রমিক নম্বর

সিদ্ধান্ত

বাস্তবায়ন অগ্রগতি

মন্তব্য







.৩ সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের (stakeholder) অংশগ্রহণে সভা


          মন্ত্রণালয়/বিভাগের উদ্যোগে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা আহ্বান করতে হবে এবং ১.৩ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে এর লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে। উল্লেখ্য, অংশীজন (stakeholder) বলতে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়/বিভাগের অভ্যন্তরীণ/দাপ্তরিক/নাগরিক সেবা গ্রহণকারী যেকোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান (সরকারি/বেসরকারি), সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা/মাঠপর্যায়ের কার্যালয়সমূহ কিংবা তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বুঝাবে। অংশীজনের অংশগ্রহণে কমপক্ষে ২ টি সভা করতে হবে। উল্লেখ্য ২টি সভার মধ্যে ন্যূনতম ১টি  সভা আবশ্যিকভাবে বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বড় পরিসরে অনেক বেশি সংখ্যক অংশীজনের উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে। তবে যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের বিভাগীয়/জেলা/উপজেলা পর্যায়ে অফিস নেই তারা নিজেদের অফিসে দুটি সভাই আয়োজন করতে পারবে।  এ সভায় আবশ্যিকভাবে সিটিজেনস্ চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা এবং তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।  অংশীজনের সভায় আবশ্যিকভাবে সেবাগ্রহীতার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।         

 

মূল্যায়ন পদ্ধতি: অংশীজনের অংশগ্রহণে ২টি সভা আয়োজন করতে হবে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১টি সভা নিজ অফিসের বাহিরে অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ের কোন অফিসে গিয়ে অধিক সংখ্যক সেবাগ্রহীতার উপস্থিতিতে করতে হবে। অন্য ১টি সভা নিজ অফিসে করা যাবে। ন্যূনতম ১টি সভা নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগের বাহিরে বিভাগীয়/জেলা/উপজেলার মাঠ পর্যায়ের অফিসে গিয়ে বড় পরিসরে আয়োজন করা না হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে না।  অংশীজনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করতে হবে। কার্যবিবরণী বিস্তারিত হতে হবে এবং গুণগত মানসম্পন্ন হতে হবে। কার্যবিবরণীতে স্টেকহোল্ডারদের অর্থাৎ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের তাদের পরিচয়সহ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে। কার্যবিবরণী গুণগত মানসম্পন্ন না হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে না।   


 

প্রমাণক: অংশীজনের অংশগ্রহণে সভার কার্যবিবরণী এবং হাজিরা।  





১.৪ শুদ্ধাচার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন  


মন্ত্রণালয়/বিভাগে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য শুদ্ধাচার সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ১.৪ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে। ৮-১১ কলামসমূহে প্রযোজ্য কোয়ার্টারে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা প্রদর্শন করতে হবে। কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যার উপর নির্ভর করবে কতটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে। প্রশিক্ষণ আয়োজনসহ শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সকল ব্যয় নির্বাহের জন্য কোড নম্বর ৩২৫৭১০৬ এ বরাদ্দ নিতে হবে। এছাড়া শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানের জন্য ৩২১১১০১ নম্বর কোডে বাজেট বরাদ্দ নিতে হবে।


মূল্যায়ন পদ্ধতি: লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীকে শুদ্ধাচার সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ প্রদান  করা হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে অর্জন শতভাগ না হলে গাণিতিকহারে নম্বর কর্তন হবে।   


প্রমাণক: প্রশিক্ষণের নোটিশ, হাজিরা ও ছবি।

 

১.৫ কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন (টিওএন্ডইভুক্ত অকেজো মালামাল নিষ্পত্তিকরণ/নথি বিনষ্টকরণ/পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি/ প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মচারীদের দাপ্তরিক পোষাক সরবরাহ ও পরিধান নিশ্চিত করা ইত্যাদি)


মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ  স্ব স্ব  কার্যালয়ে কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রম যেমন: টিওএন্ডইভুক্ত অকেজো মালামাল নিষ্পত্তিকরণ/নথি বিনষ্টকরণ/পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি/প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মচারীদের দাপ্তরিক পোষাক সরবরাহ ও পরিধান নিশ্চিত করা ইত্যাদি গ্রহণ করবে। কার্যক্রমের সংখ্যা ও সম্পন্ন করার তারিখ নির্ধারণ করে লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে  এবং ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে।  ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত কমপক্ষে ২ টি কার্যক্রম গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, কর্ম-পরিকল্পনা প্রেরণের সময় নির্বাচিত কার্যক্রমের নাম, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও প্রমাণক হিসাবে কি সরবরাহ করা হবে তার বিবরণ আবশ্যিকভাবে পৃথক সংযুক্তিতে দিতে হবে।       



সংযুক্তি নিম্নরূপ হবেঃ


ক্রমিক নং

 কার্যক্রমের নাম

বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া

প্রমানক হিসাবে যা থাকবে











        মূল্যায়ন পদ্ধতি: মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ কর্তৃক গৃহীত কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রমের সংখ্যা ও কার্যক্রম সম্পন্ন করার তারিখের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র অফিস আদেশ কিংবা অন্য অফিসকে পত্র প্রেরণের মাঝে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকলে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অর্জন নিশ্চিত না হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে না। কর্ম-পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ভূমিকা পরিবীক্ষণ করা হবে এবং তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হবে।

 

প্রমাণক: ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট পত্র, অকেজো মালামাল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভার কার্যবিবরণী, নথি বিনষ্টকরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কমিটির সভার কার্যবিবরণী, কর্মচারীদের দাপ্তরিক পোষাক সরবরাহের কার্যাদেশ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি ও অন্যান্য প্রমাণক।  



১. আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) কর্তৃক দাখিলকৃত  শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনের ওপর ফিডব্যাক প্রদান


মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহকে এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক দাখিলকৃত  শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার ত্রৈমাসিক অগ্রগতি  প্রতিবেদনের ওপর ফিডব্যাক প্রদান করতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা ১.৬ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে এবং ৯-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে। এক্ষেত্রে ১ম ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনের উপর অক্টোবর মাসের ১৬-৩১ তারিখের মধ্যে; ২য়  ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনের উপর জানুয়ারি মাসের ১৬-৩১ তারিখের মধ্যে এবং ৩য় ত্রৈমাসিক অগ্রগতি প্রতিবেদনের উপর এপ্রিল মাসের ১৬-৩০ তারিখের মধ্যে ফিডব্যাক প্রদান করতে হবে। ৪র্থ কোয়ার্টারে কোন ফিডব্যাক প্রদানের প্রয়োজন নেই।  যেসকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের কোন আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা নেই সে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ ১.৩ ক্রমিকে ২টি অংশীজনের অংশগ্রহণে সভার স্থলে ৪টি অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা আয়োজন করবে অথবা ১.৫  ক্রমিকে কর্মপরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত ২টি কাজের স্থলে ৪টি কার্যক্রম গ্রহণ করবে।   

মূল্যায়ন পদ্ধতি: আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) কর্তৃক প্রতি কোয়ার্টারে দাখিলকৃত  শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার ত্রৈমাসিক  প্রতিবেদনের ওপর মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ ফিডব্যাক প্রদান করলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। তবে প্রতিটি দপ্তর/সংস্থাকে প্রদত্ত ফিডব্যাক পৃথকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাকে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সঠিকভাবে এবং গুনগতমান বজায় রেখে ফিডব্যাক দিচ্ছে কি না তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দৈবচয়ন ভিত্তিতে পরিবীক্ষণ করবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে তা মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের মূল্যায়নে বিবেচনা করা হবে।  


প্রমাণক: নোটিশ, হাজিরা,  এবং NIS অনলাইন সিস্টেম হতে প্রাপ্ত ফিডব্যাক শীট।     


ক্রমিক ২আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন 

২.১ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেটের অনুমোদিত ক্রয়-পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ

পিপিএ ২০০৬-এর ধারা ১১(২) ও পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ১৬(৬) অনুযায়ী সরকারের রাজস্ব বাজেটের অধীনে কোন ক্রয়কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান অর্থবছরের প্রারম্ভে বার্ষিক ক্রয়-পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। রাজস্ব বাজেটের অধীনে ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি চলমান প্রকল্পসমূহের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা অর্থাৎ উন্নয়ন বাজেটের ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পিপিআর-২০০৮ এর তফসিল ৫ এ বর্ণিত ফর্ম অনুসরণ করতে হবে। রাজস্ব বাজেট এবং উন্নয়ন বাজেটের অনুমোদিত ক্রয় পরিকল্পনা ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখের মধ্যে  ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে । দু'ধরনের ক্রয় পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য দু'টি পৃথক তারিখ নির্ধারণ করা হলে তারিখ দু'টি ১ম কোয়ার্টারে (৮ নম্বর কলামে) কমা দিয়ে লিখতে হবে। উল্লেখ্য, মন্তব্য কলামে কোনটি রাজস্ব বাজেটের ক্রয় পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা এবং কোনটি উন্নয়ন বাজেটের ক্রয় পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশের লক্ষ্যমাত্রা তা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে মোট বরাদ্দকৃত নম্বর ২। রাজস্ব বাজেটের ক্রয় পরিকল্পনার জন্য বরাদ্দকৃত নম্বর ১ এবং উন্নয়ন বাজেটের ক্রয় পরিকল্পনার জন্য বরাদ্দকৃত নম্বর ১। উল্লেক্ষ্য, যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের নিজস্ব কোন প্রকল্প নেই তাদের জন্য উন্নয়ন বাজেটের ক্রয় পরিকল্পনা প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে ঐ সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ রাজস্ব বাজেটের ক্রয় পরিকলনা ওয়েবসাইটে প্রাকাশ করলে পূর্ণ নম্বর পাবে।   

মূল্যায়ন পদ্ধতি:  ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রারম্ভে লক্ষ্যমাত্রা এবং পিপিআর ২০০৮ এ বর্ণিত ফর্ম অনুযায়ী বার্ষিক ক্রয়-পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে  পূর্ণ  নম্বর পাওয়া যাবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ক্রয় পরিকল্পনা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে না পারলে এবং বর্ণিত ফর্মে বার্ষিক ক্রয়-পরিকল্পনা করা না হলে কোন নম্বর পাওয়া যাবে না।     

প্রমাণক: অফিস আদেশ ও স্ব স্ব ওয়েবসাইট।   

 

২.২ অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন (রাজস্ব এবং উন্নয়ন বাজেটের)


পরিচালন এবং উন্নয়ন বাজেটের অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২.২ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে এবং ৮-১১ নম্বর কলামে লক্ষ্যমাত্রা শতকরা (%) আকারে বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা চার কোয়ার্টারে সক্ষমতা অনুযায়ী শতকরা (%) উল্লেখ করতে হবে। ক্রয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে ক্রয় পরিকল্পনার ৫ নম্বর কলামে উল্লিখিত ক্রয় পদ্ধতি অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধিত ক্রয় পরিকল্পনার পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে।  ক্রয় পদ্ধতি পরিবর্তন করা হলে সংশোধিত ক্রয় পরিকল্পনা প্রমাণক হিসেবে বছর শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।   


মূল্যায়ন পদ্ধতিঃ  

অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয়/বিভাগের বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার কোন নির্দিষ্ট প্যাকেজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দৈবচয়ন ভিত্তিতে পরিবীক্ষণ করবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রয় পরিকল্পনার উক্ত প্যাকেজ বাস্তবায়নে ঘোষিত পদ্ধতি অথবা সংশোধিত ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী পদ্ধতির সকল ধাপ বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করা হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্রয় পরিকল্পনার উক্ত প্যাকেজ বাস্তবায়নে ঘোষিত পদ্ধতি অথবা সংশোধিত ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রয়পদ্ধতির সকল ধাপ অনুসরণ করা না হলে অথবা ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে কোন নম্বর পাওয়া যাবে না।

প্রমাণকঃ 

বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ক্রয়কার্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (টেন্ডার নোটিশ, NoA ইত্যাদি) । ক্রয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ক্রয়কার্য সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নৈতিকতা কমিটির সভাপতি কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে।   



২.৩ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন 

মন্ত্রণালয়/বিভাগ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের শতকরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে  ২.৩ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের  লক্ষ্যমাত্রা ক্রমপুঞ্জীভূতভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

মূল্যায়ন পদ্ধতি: বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। লক্ষ্যমাত্রার ১০০% অর্জিত না হলে গাণিতিকহারে নম্বর কর্তন করা হবে। তবে, লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের হার ৮০% এর নিচে হলে কোন নম্বর পাওয়া যাবে না।  

প্রমাণক: মন্ত্রণালয়/বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নের প্রমাণক সরবরাহ করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও  মূল্যায়ন বিভাগ(IMED) হতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হার যাচাই করবে।  



২.৪ প্রকল্পের PSC ও PIC সভা আয়োজন  


প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে মন্ত্রনালয়/বিভাগসমূহ PSC সভা আয়োজন করবে। তবে যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকল্প সংখ্যা ১ থেকে ৩০ তাদের শতভাগ পিএসসি সভা আয়োজন করতে হবে। যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকল্প সংখ্যা ৩১ থেকে ৬০ তাদের শতকরা ৮০ ভাগ পিএসসি সভা আয়োজন করতে হবে। যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকল্প সংখ্যা ৬১ থেকে ১০০ তাদের শতকরা ৫০ ভাগ পিএসসি সভা আয়োজন করতে হবে। যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকল্প সংখ্যা ১০১ বা তদুর্ধব তাদের শতকরা ৩৫ ভাগ পিএসসি সভা আয়োজন করতে হবে। তবে মন্ত্রণালয়/বিভাগের নিজস্ব প্রকল্পের শতভাগ পি আই সি সভা আয়োজন করতে হবে। চলমান প্রকল্পের PSC ও PIC সভা আয়োজনের লক্ষ্যমাত্রা ২.৪ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে প্রযোজ্য কোয়ার্টারে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা প্রদর্শন করতে হবে। উল্লেখ্য, কর্ম-পরিকল্পনা প্রেরণের সময় চলমান সকল প্রকল্পের তালিকা, প্রকল্পের মেয়াদ, প্রমাপ অনুযায়ি PSC ও PIC সভা আয়োজনের সংখ্যা (পৃথক কলামে) উল্লেখ করে আবশ্যিকভাবে সংযুক্তি আকারে দিতে হবে। PSC সভার সংখ্যা নির্ধারনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্প এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার চলমান সকল প্রকল্পের PSC সভার সংখ্যা ধরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। PIC সভার সংখ্যা নির্ধারনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্পের PIC সভার সংখ্যা বিবেচনায় নিতে হবে। এক্ষেত্রে দপ্তর /সংস্থার প্রকল্পের PIC সভা বিবেচনায় আসবেনা। যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের দপ্তর/সংস্থা নেই তাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিজ মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের PSC এবং PIC সভা বিবেচনায় আসবে।    


সংযুক্তি নিম্নরূপ হবেঃ


ক্রমিক নং

চলমান প্রকল্পের নাম

প্রকল্পের মেয়াদ

PSC সভার সংখ্যা

PIC সভার সংখ্যা

মন্তব্য







 
























 


মূল্যায়ন পদ্ধতি: কোয়ার্টারভিত্তিক প্রমাপ অনুযায়ী PSC ও PIC সভা আয়োজন করা হলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে। কোয়ার্টারভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সভা আয়োজন করা না হলে গাণিতিকহারে নম্বর কর্তন করা হবে। PSC সভার জন্য নম্বর থাকবে ২ এবং PIC সভার জন্য নম্বর থাকবে ১। তবে যেসকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে কোন PSC বা PIC সভা করতে হবে না তাদেরকে এই সূচকের নম্বর পেতে হলে ৩ ক্রমিকে শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্য একটি কাজ করতে হবে। অন্যথায় কোন নম্বর পাওয়া যাবে না।  

প্রমাণক: আয়োজিত সভার হাজিরা এবং কার্যবিবরণী।




২.৫ প্রকল্প সমাপ্তি শেষে প্রকল্পের সম্পদ (যানবাহন, কম্পিউটার, আসবাবপত্র ইত্যাদি) বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা

মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক প্রকল্প সমাপ্তি শেষে প্রকল্পের সম্পদ (যানবাহন, কম্পিউটার, আসবাবপত্র ইত্যাদি) বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করার তারিখ নির্ধারণ করে ২.৫ নম্বর ক্রমিকের ৬ নম্বর কলামে উল্লেখ করতে হবে এবং ৮-১১ কলামসমূহে প্রযোজ্য কোয়ার্টারে উক্ত লক্ষ্যমাত্রা বিভাজন করে প্রদর্শন করতে হবে। এক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সমাপ্ত সকল প্রকল্পের সম্পদ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ২য় কোয়ার্টারে সমাপ্ত সকল প্রকল্পের সম্পদ বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করতে হবে। প্রকল্পের সম্পদ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে  সাবেক সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ০৮ জানুয়ারি ২০০৬ তারিখের নং সম (পরি)-স্থায়ী কমিটি/৪৪/২০০৫ (অংশ-১)-৭২১  নম্বর পরিপত্র এবং ১১ মে ১৯৯৯  তারিখের নং-সম (পরি) প-৫/৯৮-১৫৮ (২০০) নম্বর পরিপত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্পের আসবাবপত্র ব্যবহারযোগ্য হলে প্রকল্প সমাপ্তিশেষে প্রকল্প পরিচালক লিখিতভাবে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত সম্পদ জমা প্রদান করবেন। উল্লেখ্য, কর্ম- পরিকল্পনা প্রেরণের সময় মন্ত্রণালয়/বিভাগ  এবং এর  আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সমাপ্ত হয়েছে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১ম এবং ২য় কোয়ার্টারে সমাপ্ত হবে এমন সকল প্রকল্পের সম্পদের বিবরণ আবশ্যিকভাবে সংযুক্তি আকারে দাখিল করবে। যেসকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সম্পদ হস্থান্তরের বিষয় থাকবে না তাদেরকে ৩ ক্রমিকে শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্য একটি কাজ করতে হবে।     

সংযুক্তি নিম্নরূপ হবেঃ


ক্রমিক নং

প্রকল্পের নাম

প্রকল্প সমাপ্তির তারিখ

প্রকল্পের সম্পদের বিবরণ

মন্তব্য



























 

মূল্যায়ন পদ্ধতি: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়/বিভাগ  এবং এর  আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহের সমাপ্ত  প্রকল্পের সম্পদ (কম্পিউটার, আসবাবপত্র ইত্যাদি) বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা হলে ২ নম্বর পাওয়া যাবে এবং সমাপ্ত প্রকল্পের সম্পদ হিসেবে যানবাহন বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা হলে ৫ নম্বর পাওয়া যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ হস্তান্তর করতে না পারলে কোন নম্বর পাওয়া যাবে না।  

প্রমাণক: প্রকল্পের সম্পদ হস্তান্তর সংক্রান্ত পত্র, সচল যানবাহন পরিবহণ পুলে জমা প্রদান সংক্রান্ত পত্র, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে গঠিত কমিটির সভার কার্যবিবরণী, অচল যানবাহন নিলামে বিক্রয় সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী ইত্যাদি।




ক্রমিক ৩: শুদ্ধাচার-সংশ্লিষ্ট এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক অন্যান্য কার্যক্রম


       ৩.১ সরকারি যানবাহনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণঃ


       মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ সরকারি যানবাহনের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে। যে সকল কর্মকর্তা গাড়ি ক্রয়ের জন্য সুদমুক্ত ঋণ পেয়েছেন এবং গাড়ি ক্রয় করেছেন তারা যাতে অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ যেন দপ্তর/সংস্থাসমূহের গাড়ি ব্যবহার না করেন এবং বিধিবহির্ভূতভাবে প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার না করেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি ক্রয় করেছেন এমন কোন কর্মকর্তা যদি সার্বক্ষণিক সরকারি যানবাহন ব্যবহারের সুবিধা পান সেক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রণালয়/বিভাগের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০২০ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বাবদ নির্ধারিত অর্থের ৫০ শতাংশ পাবেন।


     মূল্যায়ন পদ্ধতি: মন্ত্রণালয়/বিভাগের টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহনসমূহ যথাযথভাবে ব্যবহার হচ্ছে এ সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ দপ্তর/সংস্থার গাড়ি ব্যবহার করেন না বা বিধিবহির্ভূতভাবে প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন না মর্মে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র  দাখিল করতে  হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের সরকারি যানবাহন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র  স্বাক্ষর করবেন। যে সকল কর্মকর্তা সুদমুক্ত ঋণে গাড়ি ক্রয় করেছেন তারা মন্ত্রণালয়/বিভাগের টিওএন্ডইভুক্ত গাড়ি ব্যবহার করেন না মর্মে অথবা বিধিমোতাবেক গাড়ি  ব্যবহার করছেন মর্মে প্রত্যয়নপত্র সিনিয়র সচিব/সচিব মহোদয়ের নিকট দাখিল করবেন। উভয় প্রত্যয়নপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিব প্রতিস্বাক্ষর